১. অশ্রুজল:
চোখের পানি অর্থে ব্যবহার অপপ্রয়োগ। কেননা অশ্র শব্দের অর্থ চোখের জল। তাই এর সাথে জল যুক্ত থাকলে শব্দটির অর্থ হয় চোখের জল জল। সুতরাং অশ্রজল শব্দটির ব্যবহার অপপ্রয়োগ। অতএব এর প্রয়োগ হবে অশ্রু/চোখের জল।
২. অজ্ঞানতা:
অজ্ঞতা অর্থে অজ্ঞানতার ব্যবহার অশুদ্ধ। কেননা অজ্ঞানতা অর্থ জ্ঞানশূনতা তাই জ্ঞানশূন্যতা অর্থে অজ্ঞানতার প্রয়োগ অশুদ্ধ।
৩. ইদানীংকালে:
‘ইদানীং’ অর্থ বর্তমানকাল। অর্থাৎ ‘ইদানীং’ শব্দের সাথে কালযুক্ত আছে। ‘ইদানীংকাল’ লিখলে বাহুল্যজনিত অপপ্রয়োগ হবে। অতএব লিখতে হবে ‘ইদানীং’।
৪. কার্যকারী:
‘কার্যকারী’ শব্দটির প্রয়োগ বা শুদ্ধরূপ হলো ‘কাযকর’। কার্যকর শব্দের অর্থ ফলদায়ক বা উপযোগী। সুতরাং ‘কার্যকারী’ শব্দটির শেষে ঈ-কার ব্যবহার বাহুল্য দোষ।
৫. তৎকালীন সময়:
তৎকালীন’ শব্দের অর্থ সেই সময়। তাই তৎকালীনের সাথে সময় ব্যবহার করলে অপপ্রয়োগ হবে। সুতরাং ‘তৎকালীন’ লিখতে হবে।
৬. পদক্ষেপ:
শব্দের অর্থ পা ফেলা বা পদার্পণ। কিন্তু আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ অর্থে প্রায়ই ব্যবহার করি। সুতরাং ব্যবস্থা অর্থে ‘পদক্ষপে’ ব্যবহার অশুদ্ধ।
৭. খাঁটি গরুর দুধ:
বাক্যটি অর্থহীন। গরু খাঁটি বা নকল হয় না। সুতরাং এর শুদ্ধরূপ হবে ‘গরুর খাঁটি দুধ। তেমনি, ‘মরিচের খাঁটি গুড়া’, ‘সরিষার খাঁটি তৈল’ ইত্যাদি ব্যবহার শুদ্ধ বা প্রয়োগ।
৮. জন্মবার্ষিকী:
‘জন্মবার্ষিকী’ শব্দটি অপপ্রয়োগ। এর প্রয়োগ হলো ‘জন্মবার্ষিক’।
তেমনি ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর’ প্রয়োগ হলো ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিক। কেননা বছরে একবার অনুষ্ঠিত হলে বার্ষিক বলে। যেমন, বার্ষিক পরীক্ষা। কখনো বার্ষিকী পরীক্ষা হয় না।
৯. বমালসুদ্ধ:
‘বমাল’ শব্দের অর্থ মালসহ বা মালসমেত। তাই ‘বমালসুদ্ধ’ ব্যবহার করলে বাহুল্যদোষ দুষ্ট হবে। কেননা ‘বমাল’ অর্থ মালসুদ্ধ। সুতরাং ‘বমালসুদ্ধ’ ব্যবহার করলে সুদ্ধ শব্দটির ব্যবহার দুইবার হয়। অর্থাৎ ‘বমালসুদ্ধ’ অর্থ হয় ‘মালসহসুদ্ধ’। ফলে শব্দটি ‘বমালসদ্ধ’ না হয়ে ‘বমাল/মালসহ’ হবে।
১০. আকণ্ঠ পর্যন্ত:
‘আকণ্ঠ পর্যন্ত’ শব্দটি অপপ্রয়োগ। কেননা আকণ্ঠ অর্থ কণ্ঠ পর্যন্ত। তাই এর সাথে আবার পর্যন্ত যোগ করা অপপ্রয়োগ হবে। অতএব শব্দটি হবে আকণ্ঠ/কণ্ঠ পর্যন্ত।
.jpg)